Loading

বলো, ‘ভালোবাসি’  

হৃদয়গভীরে মন্দ্র স্বরে মন্ত্রোচ্চারণ করো– ‘ভালোবাসি!’

উচ্চারণ করো পলে পলে, দমে দমে,

তোমার হিংসাবৃত্তি, ঈর্ষা অসূয়া কমে আসবে ক্রমে ক্রমে…

তুমি দেখবে, তোমার চারপাশে শুধু গান আলো হাসি–

দোহাই লাগে, আন্তরিকভাবে

অন্তত একবার তুমি বলো– ‘ভালোবাসি!’

 

বললেই দেখবে তুমি ফুসমন্তর ম্যাজিক আখ্যান

তখন কোথায় মোদি, কোথা তালেবান!

কোথায় ট্রাম্প পুতিন কিংবা কিম ইল

সুঙ্! দেখবে হিংসা নয়, হাস্যরসে ভরেছে নিখিল।

 

অবদমনের চেষ্টা নয়, মুক্তকণ্ঠে বলো– ‘ভালোবাসি!’

তুমি বললে প্রতিধ্বনি উঠবে চারপাশে,

এগিয়ে আসবে তারা আরো যারা যারা ভালোবাসে।

সমুদ্রগর্জন হয়ে দিগন্তপ্লাবিত করবে ভালোবাসা… শুধু ভালোবাসা,

পাদপ্রদীপের আলো থেকে মঞ্চের তলায় ঠাঁই নেবে যত দুর্ভাষা দুর্বাসা।

 

রাত্রে শয্যায় তুমি ভালোবাসো, সকালে উঠেই হাতে খাঁড়া,

সন্তানকে দুধ-কলা খাইয়ে তুমি পড়শিকে বিষ দিতে একপায়ে খাড়া।

তোমার এসব পুরোনো অসুখ একদম সেরে যাবে

কিছুদিন থাকো যদি নিখাদ ভালোবাসার তাঁবে আর ভাবে।

 

‘ভালোবাসি’ না বললে, সোনা ও অস্ত্রের দাম বাড়বে ক্রমাগত,

পৈশাচিক নারকীয় মৃত্যু সব ক্রমে হবে দ্বারে সমাগত।

তার চেয়ে পুষ্পবনে গোলাপকাঁটার ঘায়ে মৃত্যুস্বপ্ন নিয়ে

চলে যাও তুমি ভালোবেসে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে।

 

ঘা-টা চুলকিয়ে চুলকিয়ে তুমি বড় করছো বাঁদর স্বভাবে।

এসব হয়েছে কিন্তু কিছু কিছু রক্তদোষ আর

সঠিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাবে।

ভালোবাসার ইস্কুলে কিছুদিন পড়ো–

দেখবে তুমি হৃদয়ের আয়তন বেড়ে গেছে,

হয়ে গেছে ঢের বেশি দড় আর বড়।

সমস্ত পৃথিবী তাতে অনায়াসে যায় ধরে

‘ভালোবাসি’– এ কথাটা হৃৎপিণ্ডে একবার লিখে নিলে

অজর ও অমর অক্ষরে।

 

আসলে তোমার নিদান হাঁকা হয়ে গেছে, তবু

তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি তাই

সর্বরোগহর ভালোবাসা বটিকার খোঁজ দিয়ে যাই।

খাও যদি আনন্দ ও সৃজনের পাখনা গজাবে,

আর না খেলে আখেরে পস্তাবে

যখন সময় থাকবে না

যখন তুমিও করবে শোধ অনিবার্য নিয়তির দেনা।

You must be logged in to post a comment.